নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্যপ্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর,

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্যপ্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর,

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী খান শাহিন সাজ্জাদ পলাশের গাড়িসহ দু’টি গাড়ি ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৫ অক্টোর) রাত ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম কবিরুল হক মুক্তির উপস্থিতিতে তার সমর্থিত সদস্য প্রার্থী কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক খান রবিউল ইসলামসহ সমর্থকেরা গাড়ি ভাংচুর করেন।

সদস্য প্রার্থী শাহিন সাজ্জাদ পলাশসহ ভুক্তভোগীরা জানান, নির্বাচনী প্রচারণার এক পর্যায়ে শনিবার রাত ১০টার দিকে পলাশ কালিয়া পৌর ভবনে আসেন। এ সময় কালিয়া পৌর মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান হিরা, কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ, সালামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহম্মেদসহ অনেকে জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছিলেন। হঠাৎ করে ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক পৌরভবন চত্বরে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী খান শাহিন সাজ্জাদ এবং সালামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহম্মেদের প্রাইভেট কার ভাংচুর করেন। সিসিটিভি ফুটেজে সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেখা গেছে।

তবে কবিরুল হক মুক্তি দাবি করে বলেন, পৌরভবনে সদস্যপ্রার্থী খান শাহিন সাজ্জাদ পলাশ টাকা-পয়সা বিতরণ করছিলো। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে গিয়েছিলাম। এর বাইরে আর কিছু হয়নি।

এদিকে ভাংচুরের ঘটনায় সালামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহম্মেদ বাদী হয়ে কবিরুল হক মুক্তিএমপিসহ ৩৪জনের নামে ঘটনার দিন রাতেই কালিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন।

রোববার বিকেলে কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আর সংসদ সদস্যসহ ৩৪জনের নামে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠেয় নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস ছাড়াও দলের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু ও শেখ সুলতান মাহমুদ বিপ্লব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে ১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী) মিলিনা খানম, ছাবিনা বেগম, মোসাঃ রানী ও শাহিনুর আক্তার রুমা এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডে জেসমিন, নাজনীন সুলতানা ও রহিমা খানম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে (পুরুষ) সদস্য পদে খান শাহীন সাজ্জাদ পলাশ, মাসুম বিল্লাহ ও রবিউল ইসলাম খান, ২ নম্বর ওয়ার্ডে খোকন কুমার সাহা, ওবায়দুর রহমান, খায়রুজ্জামান মোল্যা, বরকত হোসেন ও সৈয়দ আবিদুল ইসলাম এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আখতার হোসেন, আজাদ রহমান, শেখ সাজ্জাদ হোসেন ও সৈয়দ সামসুল আলমের মাঝে ভোট যুদ্ধ অনৃুষ্ঠিত হবে।

চারটি কেন্দ্রে ৫৫২জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রির্টানিং অফিসার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। #

 

আপনি আরও পড়তে পারেন